/* */ .BSNews {background:#eeeeee;width:100%;font-family:Arial, sans-serif;font-size:12px;font-weight:bold;line-height:1.4em;display:inline-block;margin-right:25px;margin-top:9px;} .news {width:100%;margin:0 auto;padding:0 2px;line-height: 1.4em;text-align:left;font:normal 13px Arial;color:#000000;overflow:hidden;clear:both;} .news a:link, .news a:visited{color:#000000;text-decoration:none;} .news a:hover {color:#333333;text-decoration:underline;

Index Labels

পশ্চিমা বিশ্বের পরবর্তী সামাজিক অভিশাপ ফেইসবুক

.
বলা হয়ে থাকে বিলাসী বেপরোয়া জীবন যাপন ও নেশা - এ দুইয়ের মাঝে পশ্চিমা বিশ্বের বসবাস। পৃথিবীকে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য সব আবিস্কারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার একক কৃতিত্বও তাদের।
কিন্তু বিজ্ঞান ও নতুন প্রযুক্তি যে একটি সমাজের গলার কাটা হিসেবে উপস্থিত হতে পারে তার প্রমাণও পাওয়া যায় বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে। পশ্চিমাদের তৈরি সামজিক নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি ফেইসবুক সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।


মাদক, নেশা, সামজিক অপরাধ ও ফেইসবুক আসক্তির সঙ্গেই বসবাস করতে হচ্ছে গতিশীল পশ্চিমা সমাজকে। বিশ্বের ‘রোল মডেল’ বলে খ্যাত পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মাদক, অপরাধ এবং অনির্দিষ্ট সময় ধরে ফেইসবুকে বসে থাকার নেশাকে ‘সামজিক অভিশাপ’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। দিনের পর দিন ফেইসবুকের নেশা দেশগুলোর উদীয়মান প্রজন্মকে উন্মুক্ত বিশ্ব থেকে ঘরকুনো করে ফেলছে বলে অভিযোগ করছেন দেশগুলোর সামজিক বিজ্ঞানীরা।

দিনের পর দিন নতুন প্রজন্ম আরো বেশি পরিমাণে ফেইসবুকের এ নেশায় বুদ হচ্ছে। সামজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুক এর ব্যবহারকারীদের উপর কি প্রভাব ফেলে পশ্চিমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এরিমধ্যে এ নিয়ে একাধিক স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী অনেকগুলো গবেষণা পরিচালনা করেছেন। গবেষণাগুলোর প্রভাব দেখে যে কোন সচেতন ব্যক্তিরই মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মডার্ন টেকনোলজি’স ইফেক্ট রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত গবেষণাটিতে দেখা গেছে, দেশটির হায়ার লেভেল স্কুলের ৩য় গ্রেডের একজন ছাত্র বছরে ১৮০০ ঘন্টা ফেইসবুকের রঙিন দুনিয়ার সামনে কাটিয়ে দিচ্ছে। অথচ ঐ একই ছাত্র বছরে তার বইয়ের সামনে বসছে মাত্র ১২০০ ঘন্টার সমপরিমাণ সময়। আবার নিউক্যালস মিডিয়া রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে টিনএজ অপরাধ পুরো আমেরিকায় সর্বোচ্চ। টিনএজ এ বালকরা ব্যাংক ডাকাতি থেকে খুন, গুম, ধর্ষন, ছিনতাই, বর্ণবাদসহ বিভিন্ন ধরণের মারাত্মক অপরাধ সংগঠন করেছে।

মনস্তাত্বিকরা এ বালকদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার কারণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে পেয়েছেন এক অবিশ্বাস্য তথ্য। এদের প্রায় সবাই অতি দ্রুত বিত্তশালী হতে চায় বলে তারা এমন অপরাধ করেছে বলে জানায় তারা। আর এ অপরাধীদের মধ্যে শতকরা ৮৯.৯১ শতাংশ টিন এজারই ফেইসবুক ব্যবহারকারী বলে জানিয়েছে গবেষকরা। ফেইসবুকে বন্ধু বা বান্ধবীর প্ররোচনায় দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার লক্ষ্যে তারা এমন অপরাধ করেছে। আর অপরাধ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে টিনএজাররা পালিয়ে গিয়ে ফেইসবুক সঙ্গীকে বিয়ে করছে বা পরিবারের সদস্যদের অজান্তে চ্যাট সঙ্গীটির সঙ্গে গোপনে লিভ টুগেদার করছে।

গবেষণায় আরো দেখা যায়, ফেইসবুক উন্নত দেশগুলোর পরবর্তী প্রজন্মকে অলস, হতাশ, যৌন অপরাধী, অতিরিক্ত কল্পনা বিলাসী, অপরিণত বয়সে সেক্স করার প্রবণতা বৃদ্ধি, ঘরকুনো, মেদ বৃদ্ধি, মানসিক সংকীর্ণতা, মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত করে তুলছে। প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা বাস্তবতা সম্পর্কে মিথ্যে ধারণা, পরিবাবের প্রতি দায়িত্বহীনতা, নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে অসচেতনতা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা এবং দায়িত্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ তুলছেন দেশগুলোর সামাজিক মনস্তাত্ত্বিকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের মত ইউরোপের দেশগুলোর ফেইসবুক ব্যবহারকারী টিনএজার বা প্রাপ্ত বয়স্ক অতিরিক্ত ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে প্রায় একই ঘটনা ঘটছে। যেমন: লুক্সেমবার্গে গত অক্টোবর মাসে ফিপথ গ্রেডের ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রী তার মায়ের প্রতিরোধের মুখে ফেইসবুক ব্যবহার করতে না পেরে বাড়ীতে সংরক্ষিত বন্দুক দিয়ে নিজ মাকে আহত করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে সাইটটি দেশগুলোর সমাজকে কিভাবে কলুষিত করছে।

কিশোর তরুনদের মধ্যে ফেইসবুকের ক্রমবর্ধমান আসক্তি এবং অন্যান্য দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলার কারণে দেশগুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের ফলাফল অস্বাভাবিকভাবে খারাপ হচ্ছে। তাই আইসল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, পোলাল্ড, জার্মানি, তুরস্ক, নরওয়েসহ মোট ১০ টি দেশের সচেতন কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশগুলোর সামজিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী সংস্থা ৮ থেকে ১৭ বছরের ছেলেমেয়েদের দৈনিক ৩ ঘন্টার উপর শিক্ষনীয় প্রোগ্রামগুলো ব্যতীত বাকি বিষয়গুলো নিয়ে কম্পিউটপারের সামনে বসতে পরামর্শ দিয়েছেন তাদের মা বাবাকে। সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যালয় এ নিয়ে সচেতনমুলক বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে।

পশ্চিমারা নিজেদের আবিস্কৃত ফেইসবুকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট অভিশাপ থেকে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্ত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেইসঙ্গে টিনএজারদের পিতামাতাকে তাদের সন্তানদের কম্পিটার ব্যবহারের অভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেয়ার প্রতি আরো সচেতন হওয়ার ব্যাপারেও আহ্বান জানান তারা। পদক্ষেপগুলো ভাল কাজ না দিলে পরবর্তীতে ফেইসবুক ব্যবহারে আরো কঠোর অবস্থা গ্রহণের ব্যাপারেও হুমকি দিয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রযুক্তি ও সমাজকল্যান মন্ত্রী এডবিনা মিসিলা।

সূত্রঃ ইউকে বিডি

It's time to change...

FAQ's

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Search Wikipedia

সার্চ ফলাফল

Featured Posts Coolbthemes

Find Us On Facebook

Subscribe Here

Advertisement

Featured Video

Featured Video

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

About us


FAQ's


Social Share

Text Widget

Popular Posts

TEXT WIDGET

Blogroll

Blogger Template

About

Blogroll

myspace web counter

Social Profiles

Popular Posts